দেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশঅনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবেনবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেওয়া হচ্ছে ১০ বছরের কর অব্যাহতি
No icon

চীন সাড়ে ৩২ হাজার কোটি ডলারের বিশেষ বন্ড

বিশেষ বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে চীন। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙা করার লক্ষ্য নিয়ে এই বন্ড ছাড়া হবে, যার মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি ইউয়ান বাজার থেকে তোলা হবে। আগামী তিন মাস ধরে এই অর্থ আবাসান ব্যবসা, স্থানীয় পুঁজি সরবরাহ ও ব্যাংকব্যবস্থাকে জোরদার করতে ব্যয় করা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীনের অর্থমন্ত্রী লান ফো’য়ান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা একটি বহুল প্রত্যাশিত সংবাদ সম্মেলনে বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দেন। অর্ধনীতি চাঙা করার লক্ষ্য নিয়ে গত সপ্তাহেও বেশ কিছু পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল। এসব পদক্ষেপের মধ্যে ছিল সুদের হার কমানো ও ব্যাংকগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থের ব্যবস্থা করা।

বছরের পর বছর ধরে চলা আবাসনশিল্পের সংকট ও ভোক্তাদের কম কেনাকাটার কারণে চীনের অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন যে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণে অর্থনীতির শ্লথগতি ধারা ঠেকানো এবং চলতি বছরে ৫ শতাংশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অনেক মনে হলেও চীনের জন্য এই হার বেশ কম, কারণ দেশটি বছরের পর বছর দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। 

চীনের অর্থমন্ত্রী লান ফো’য়ান শনিবার বলেছেন, বেইজিং ট্রেজারি বন্ডের ব্যবহার আরও বাড়াবে এবং একই সঙ্গে অতি দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ বন্ড বাজারে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আগামী তিন মাসে বিশেষ বন্ডের মাধ্যমে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি তোলার ব্যবস্থা করা যাবে।’

লান ফো’য়ান আরও জানান, রাষ্ট্র খাতের বড় ব্যাংকগুলোর সহায়তার জন্য বিশেষ সরকারি বন্ড ছাড়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে তিনি জানাননি যে এই বন্ড ছেড়ে সরকারি ঠিক কী পরিমাণ অর্থের সংস্থান করার পরিকল্পনা করছে। এসব পদক্ষেপের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারগুলোর ঋণ করার সীমাও বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো অবকাঠামো নির্মাণে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে। সে কারণে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদের চাকরি রক্ষা করা যাবে। উপ–অর্থমন্ত্রী লিয়াও মিন বলেন, এর ফলে ‘স্থানীয় সরকার ও নির্মাণ কোম্পানিগুলোর তারল্য ও ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

তবে বেইজিং আরও বেশি আর্থিক প্রণোদনার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিশ্লেষকেরা কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝ্যাং বলেন, মূল কথা হলো বাজারে আরও বেশি বন্ড ছাড়া ও আরও রাজস্ব ঘাটতি হজম করার সক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের আছে।