আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনলাইন কেনাকাটায় কর বসানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পণ্য বা সেবার পরিসরকে আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি সেবার সংজ্ঞা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইনভিত্তিক যেকোন পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরকে এ সেবার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হবে। তাই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার উপর ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।
বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে কেনাবেচা সেবায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ যথাযথ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেনাবেচার ওপরেই তো চার্জ বসানো হয়। অনলাইন কেনাবেচা এখন অনেক বেড়েছে। তাই চার্জ বসানো যেতেই পারে।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে অনলাইন কেনাকাটায় কোনো কর বসানো হয়নি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ সময় বলেন, বাজেটে অনলাইন কেনাকাটায় কোনো কর বসানো হয়নি। বাজেট বক্তৃতায় এটা ভুল ছাপা হয়ে থাকতে পারে। গুগল ও ইউটিউবের মতো ভার্চুয়াল ব্যবসার ওপর কর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তাবিত বাজেটে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া গড় মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।