কর অব্যাহতি পেল গ্রামীণ ব্যাংক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনশুল্ক কমানোর খবরে কমছে চিনির দরদর পতনের শীর্ষে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজিলাল তালিকামুক্ত হলো পাকিস্তানি সব পণ্যশতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন
No icon

রাজস্ব বাড়াতে ৫৯ ব্যাংকে চালু হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি

রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দেশের ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি চালু হচ্ছে। চালানের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা দেয়ার পরিমাণ বাড়াতে এ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ট্রেজারি চালান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর মাধ্যমে ট্রেজারি চালানের অর্থ সরকারের হিসাবে জমাকরণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শিগগির জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় সমান্তরালে অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকেও সরকারি চালান লেনদেন কার্যকর করা হবে। প্রথমে সোনালী ব্যাংকসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঢাকা মহানগরীর শাখাগুলোতে এ সিস্টেমটি চালু হবে, পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে বাস্তবায়ন হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানের সিস্টেমে ভুয়া চালান ব্যবহারের নজিরও রয়েছে। কিন্তু নতুন সিস্টেম চালু হলে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে যাচাই করা ১ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার চালানের বিপরীতে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা জমা হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিস্টেম থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে দৈনিকভিত্তিতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান অ্যাকাউন্ট ডেবিটি করে ট্রেজারি চালান বাবদ জমাকৃত অর্থ সরকারি হিসাবে ক্রেডিট করবে এবং ক্রেডিট হিসাবে মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় বরাবর পাঠাবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সেবাপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে পাওয়া চালান রসিদ অনলাইন চালান ভেরিফিকেশন সাইটে যাচাই করে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে চালান যাচাইয়ের সেবা দেয়া সরকারি অফিসকে ব্যবহার চালান রসিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

যাতে রসিদটি আবার ব্যবহারের কোনো সুযোগ না থাকে। অনলাইন চালান ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে প্রয়োজনে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে হেল্পডেক্সের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি চালু হলে চালান জমা দেয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি কমবে ও সেবা সহজ হবে। রাজস্ব বোর্ড এবং হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের পার্থক্য কমে যাবে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি কমে আসবে। সরকার তার আর্থিক অবস্থান ঋণের কৌশল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।