চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আশানুরূপ রাজস্ব সংগ্রহ না হওয়ার কথা স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ জন্য অবশ্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার (ইসিআর) বা ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) যন্ত্র কিনতে না পারাকে দায়ী করেন তিনি। সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্বের প্রধান অংশ হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক)। মূসক সংগ্রহে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এখনো যন্ত্রই বসাতে পারিনি। অথচ মন্ত্রী হিসেবে যেদিন শপথ নিয়েছিলাম, সেদিনই বলেছিলাম যন্ত্র বসাতে হবে। যন্ত্র বসাতে না পারার জন্য দায়ী হিসেবে অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ইঙ্গিত করেন। ইসিআর বা ইএফডি বসানোর দায়িত্ব এনবিআরের। এরই মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাস হতে যাচ্ছে। এনবিআর আবার অর্থ মন্ত্রণালয়েরই অন্তর্ভুক্ত একটি দপ্তর এবং এনবিআরের ব্যর্থতা মানে অর্থমন্ত্রীরই ব্যর্থতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যর্থতা আমি অস্বীকার করছি না।
যন্ত্র কেন বসানো যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কারণটা আমি জানি। এখন আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন।
রপ্তানির শ্লথগতি, রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি কম, সব মিলিয়ে অর্থনীতির চিত্রটা কি হতাশাজনক নয়এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, হতাশার কিছু নেই। এই ছয় মাসে যা পারব না, পরের ছয় মাস দিয়ে তা পুষিয়ে নেব। কোনো কিছুই কমবে না, যত দিন শেখ হাসিনার সরকার আছে।
প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জাদুর মতো কাজ করছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ২৪ থেকে ২৫ শতাংশ।