বঙ্গবন্ধুর নামে থাকা প্রতিষ্ঠানে অনুদানে করছাড় বাতিল করছে সরকারখেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমলদেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ
No icon

বাংলাদেশ ও চেকের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি

বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে অধিকতর অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য বাংলাদেশ-চেকপ্রজাতন্ত্রের মধ্যে দ্বৈত কর আরোপণ পরিহার চুক্তি সই হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ-এর অর্থ মন্ত্রণালয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এনবিআর জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এটি বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের ৩৬তম চুক্তি। চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সেদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মিস এলিনা এসসিলিভরা (Ms. Alena Schillerova) এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এসময় চেক প্রজাতন্ত্রের দুজন উপমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষে এনবিআর সদস্য মিজ আরিফা শাহানাসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এনবিআরের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তথ্য-পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন।

চেক প্রজাতন্ত্রের উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বাক্ষরিত দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান চেক প্রজাতন্ত্রের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে বাণিজ্য প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এনবিআর জানায়, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। চুক্তি স্বাক্ষর ফলে চেক প্রজাতন্ত্র এর জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। একইভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরাও চেক প্রজাতন্ত্রে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন। একই আয়ের উপর দুই দেশে কর পরিহার করাই এই চুক্তির লক্ষ্য।

চুক্তি সইয়ের পর বিনিয়োগকারীকে একই অর্থ বা আয়ের জন্য দুই দেশকে আর কর দিতে হবে না। একই ব্যক্তি বা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর যাতে দুই দফা কর দিতে না হয়, সে লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি হয়ে থাকে।