বঙ্গবন্ধুর নামে থাকা প্রতিষ্ঠানে অনুদানে করছাড় বাতিল করছে সরকারখেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমলদেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ
No icon

তিন মাসে রাজস্ব আদায় ১৪.৭ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে আদায় হয়েছে ৫৫ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এ সময়ে কর রাজস্ব আদায় দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে এবং কর বর্হিভূত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে চলতি অর্থবছর অবশিষ্ট সময় রাজস্ব আহরণে গতি আনসে বলে অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বাজেট ২০১৯-২০: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারি ব্যয় বেড়েছে ১৫ দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের প্রস্তুতির কারণে এনবিআরের তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে এনবিআর কর রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ যা বিগত একই সময়ে ছিল ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। সরকারের ২ শতাংশ প্রণোদনার সিদ্ধান্তের কারণে প্রবাসী আয় বিপুলভাবে বেড়েছে এবং আগামীতে এ খাতে প্রবৃদ্ধির মাইলফলক অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। রফতানি আয় ৯ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম প্রান্তিক শেষে রফতানি আয় কমেছে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী জানান, আমদানি ব্যয় ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে ১৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। রফতানিমুখী খাতের পণ্য আমদানি কিছুটা কম হওয়ায় এ সাময়িক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। আমদানি ঋণপত্র খোলা হ্রাস পেয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় কমে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০১৮ সালের ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।