বঙ্গবন্ধুর নামে থাকা প্রতিষ্ঠানে অনুদানে করছাড় বাতিল করছে সরকারখেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমলদেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ
No icon

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৫ টাকার সেবা বা পণ্য ক্রয় করে এবং ২৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১০ টাকার সেবা বা পণ্য বিক্রি করেছে।

ক্রেতার অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। গত ৮ জুন প্রতিষ্ঠানটির গুলশান কার্যালয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।
সেবা বা পণ্য বিক্রয়ের ওপর ই-অরেঞ্জ ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৫ টাকা কমিশন পেয়েছে। প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৪ টাকা ৭৫ পয়সা ভ্যাট প্রযোজ্য হলেও ই-অরেঞ্জ মাত্র ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে। এতে সরকারের ১৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি পড়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, অভিযানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় আত্মপক্ষ সমর্থনে ডাকা হয়, কিন্তু সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।মাইনুল খান আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি মোট বিক্রির তথ্য গোপন করেছে।

ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান ও আরেক মালিক আমানউল্লাহ বর্তমানে কারাগারে আছেন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ১৭ আগস্ট একজন গ্রাহক বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া, মাসুকুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। ১৮ আগস্ট সোনিয়া ও মাসুকুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। অপর আসামি আমানুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বীথি আক্তারসহ অপর দুই আসামি পলাতক। অভিযানে পাওয়া ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট আদায় ও পরবর্তী অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মামলার প্রতিবেদন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা উত্তরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রমে আরও নজরদারি ও তদন্তের অনুরোধ করা হয়েছে।