জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমানতের সুদের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার আরোপের ক্ষেত্রে অন্ধকারে থাকতে চায় না জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। তিনটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডকে পাঠানো চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো চিঠিতে আমানতের সুদের ওপর উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি স্পষ্টিকরণ বিষয়ে জানতে চেয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।গত ৬ সেপ্টম্বর একই ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার নির্ধারণের জন্য কোম্পানি ও ব্যক্তি চিহ্নিতকরণ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংক চায় আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৫৩ এফ অনুযায়ী আমানতের সুদের ওপর উৎসে কর কর্তনের হার আরোপের বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। জনতা ব্যাংক ১৪ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়েছে এনবিআরকে।চিঠিতে বলা হয়, আমানতকারী ৭৫ ধারায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক/উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সব ধরনের আমানতের সুদ/মুনাফার ওপর উল্লেখিত ছকে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত আরও ৫০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের বিধান করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোম্পানি পর্যায়ের কোনো আমানতকারী ৭৫ ধারায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক/উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে প্রদেয় সুদ/মুনাফার ওপর ২০ শতাংশের স্থলে ৩০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে। তাই কোম্পানির অধিভুক্ত আমনতকারীদের এবং ব্যক্তি অধিভুক্ত আমানতকারীদের চিহ্নিত করার নিমিত্তে কোম্পানি এবং ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ব্যাংকটি।