বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বিভাগের সব কমিশনারকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরের দিন আয়কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এসব বৈঠকে রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াতে নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী তিনটি প্রান্তিকে কীভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে প্রতিটি কমিশনারেটের জন্য মাসওয়ারি লক্ষ্য ঠিক করা দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্য সঠিকভাবে অর্জিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে রাখছেন এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে বিলাসী পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি ডলার-সংকটের কারণে পণ্য আমদানি কমেছে। ফলে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় কমতে শুরু করেছে। যার প্রভাব স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে, যা আয়কর ও ভ্যাট খাতকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। রাজস্ব আদায়সংক্রান্ত এনবিআরের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চলতি অর্থবছর এনবিআরের জন্য ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে এনবিআর আদায় করেছে ৬৫ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। উল্লেখিত তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৭১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায়ে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চূড়ান্ত হিসাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বাড়তে পারে। বিশেষ করে ভ্যাটের রিটার্ন জমার পর ভ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। অন্যদিকে গত অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে।