বাধ্যতামূলক অবসর এনবিআরের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কিছু চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্রভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতিইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে
No icon

জটিলতা নিরসনে এনবিআরকে সিএনজি ব্যবসায়ীদের চিঠি

লাভের চেয়ে টার্নওভার ট্যাক্সের হার বেশি হওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে অভিযোগ করেছে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।বিক্রয় কমিশন ও গ্যাস বিক্রির কিউবিক মিটার পরিমাপ করে এ খাতে টার্নওভার ট্যাক্স নির্ধারণ করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানায় তারা।চিঠিতে সংগঠনটির মহাসচিব ফারহান নুর বলেন, সিএনজি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার জন্য ফিড গ্যাস কেনেন এবং সেটা কমপ্রেসড করে আবার সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করে থাকেন। ফলে ক্রয় ও বিক্রয়ের মধ্যে যে মুনাফা সেটাই এ খাতের ব্যবসায়ীদের কমিশন। বর্তমানে তারা সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকায় কিউবিক মিটারে গ্যাস কেনেন। পরে ওই গ্যাস কমপ্রেসড করে ৪৩ টাকা করে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এতে ব্যাবসায়ীরা প্রতি কিউবিক মিটারে গ্যাস বিক্রি করে ৮ টাকা কমিশন পান। এ কমিশন থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের যাবতীয় ব্যয় যেমন কর্মকতা ও কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিল, বিভিন্ন লাইসেন্স ফি, যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মিটিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, কমিশন বা মার্জিনের ওপর টার্নওভার ট্যাক্স আরোপ করা যুক্তিযুক্ত হলেও আয়কর অফিস থেকে সম্পূর্ণ বিক্রয়মূল্যের ওপর টার্নওভার ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে। সময়ে সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সিএনজি ব্যবসায়ীদের টার্নওভারের পরিমাণই শুধু বাড়ে, কিন্তু তাদের মুনাফা একই থাকে। যার ফলে ব্যবসায়ীদের মুনাফার চেয়ে টার্নওভার ট্যাক্স বেশি দিতে হচ্ছে যা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক মনে করছেন তারা। বিক্রয়মূল্যের পুরো অর্থ ব্যবসায়ীদের অর্জন নয়, এখানে এ খাতের ব্যবসায়ীরা শুধু একটা মার্জিন পেয়ে থাকেন।ফারহান নুর বলেন, ব্যবসায়ীরা মনে করেন সরকার নির্ধারিত ফিড গ্যাসের মূল্য ৩৫ টাকা বাদ দিয়ে টার্নওভার ট্যাক্স নির্ধারণ করা যুক্তিযুক্ত। তাদের দাবি, প্রতি কিউবিক মিটার ৮ টাকা হারে পরিশোধিত বিল অনুযায়ী মোট বিক্রি হওয়া কিউবিক মিটার গ্যাস পরিমাপ করে টার্নওভার ট্যাক্স নির্ধারণ করা জরুরি।টার্নওভারের ওপর যখন ট্যাক্স ধরা হয়, তখন সব টাকার মালিক তো আমরা না। আমরা শুধুমাত্র মার্জিনটার মালিক। মার্জিন থেকে আমাদের কমপ্রেসিংয়ের খরচ, কর্মচারীদের বেতন, অন্যান্য খরচ ও লভ্যাংশ- সবই এখানে থাকে। মার্জিনের ওপরে যে খরচগুলো আছে সেগুলো বাদ দিয়ে টার্নওভার ট্যাক্স নির্ধারণের দাবি জানিয়েছি আমরা।