দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বক্তব্য
১৩ আগষ্ট ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় পৃষ্ঠা-১২ কলাম ৫ ও ৬ এ “রিটার্ন জমা বন্ধ ৩০ নভেম্বরের পর, আয়কর আইনে আরও যেসব কঠোর বিধান” শিরোনামের সংবাদের প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বক্তব্য নিন্মরুপ :
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় “আগামী ৩০ নভেম্বরের পরে আপনি চাইলেও আর আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না”। আয়কর আইন, ২০২৩ এ এই ধরণের কোনো প্রকার বিধানের অস্তিত নেই।
আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী যেকোনো করদাতা যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ধারা ১৭১ অনুযায়ী প্রত্যেক করদাতাকে করদিবসের (৩০ নভেম্বরের) মধ্যে বা এর পূর্বে রিটার্ন দাখিলের বিধান রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধের বিধান রয়েছে। তবে, কোনো করদাতা করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তিনি করদিবস পরবর্তী যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এবং ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে পারবেন।
আয়কর আইন ২০২৩ এ রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির কোনো বিধান রাখা হয়নি। কেননা, করদাতারা এখন যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। করদিবসের মধ্যে রিটান দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে এবং করদিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে।
আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৮০ অনুযায়ী কোনো করদাতা তাঁর বকেয়া রিটার্ন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন যা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী সম্ভব হত না। অর্থাৎ করদাতা এখন যেকোনো বছরের রিটার্ন যেকোনো সময়ে দাখিল করতে পারবেন এবং তা স্বনিধারণী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন। এতে আইনগত কোনো প্রকার বাধা নেই।
প্রকাশিত সংবাদে সাধারণ করদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। প্রকাশিত সংবাদে অসম্পূর্ন এবং অসংগতিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এমতবস্থায়, জনবিভ্রান্তি অবসানের লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ বক্তব্য আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হলো।