কর ফাঁকিবাজদের ধরতে কর্মকর্তাদের টার্গেট দেওয়া হবেআয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের নজরদারিতে আনছে এনবিআরকরপোরেট করে শর্ত শিথিল হচ্ছে বাড়ছে করমুক্ত আয়ের সীমাব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদেরও ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছেসহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরা
No icon

নভেম্বরজুড়ে কর অঞ্চলে মেলার আদলে সেবা দেওয়া হবে

গত কয়েক বছরের মতো এবারও আয়কর মেলা হবে না। তবে নভেম্বর মাসজুড়ে দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলার আদলে সেবা দেওয়া হবে। করদাতারা নিজেদের কর অঞ্চলে গিয়ে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

তবে আয়কর মেলার মতো কর পরিশোধের সুবিধা পাবেন না। কারণ, ব্যাংকের কোনো বুথ কর অঞ্চলে থাকবে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ৩১ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। কোভিড শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিবছর সারা দেশে কর মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু কোভিড শুরুর পর জনসমাগমে বিধিনিষেধ থাকায় তা বন্ধ হয়ে যায়।

আইন অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার শেষ দিন। এর মধ্যে সব কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীকে (টিআইএন) রিটার্ন জমা দিতে হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী বুধবার থেকে প্রতিটি কর অঞ্চলে রিটার্ন জমার যাবতীয় করসেবা পাবেন করদাতারা। দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেল কার্যালয়ে করসেবা দেওয়া হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণেও সহায়তা করা হবে করদাতাদের। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে করদাতারা তাৎক্ষণিকভাবে পাবেন রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র। এ ছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।

কেউ যদি ই-টিআইএন নিতে চান, তা ও নিতে পারবেন। এ ছাড়া নতুন আয়কর সম্পর্কে যে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে থাকবে তথ্যকেন্দ্র। এভাবেই কর মেলার পরিবর্তে মেলার আদলে কর তথ্যসেবা মাস চালু করেছে এনবিআর।