করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো উচিত ছিলকর-ভ্যাটের চাপ আরও বাড়বেবাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ পণ্যে কমছে করভোগ্য পণ্যে শুল্ক কমানোর পরামর্শনতুন করের বোঝা না চাপানোর অনুরোধ ডিএসই’র
No icon

প্রবৃদ্ধি হলেও, বড় রাজস্ব ঘাটতিতে এনবিআর

গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করার পরও, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না এনবিআর। বরং ঘাটতি ছাড়িয়ে গেছে ২৪ হাজার ২০৭ কোটি টাকা।চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই- এপ্রিল) ১০ মাসে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ অর্জন করা যায়নি। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৯ লাখ ৩৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব। একই সময়ে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। এনবিআরের রাজস্ব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল এনবিআরকে। পরে বড় অঙ্কের ঘাটতি পড়ে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে তা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।এনবিআর এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে ৮২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা, ভ্যাটে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা ও আয়কর ৯৩ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে। একই সময়ে আমদানিতে ৯৩ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকার ভ্যাট ও ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল।অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আয়কর আদায়ে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ, ভ্যাটে ১৬দশমিক ০১ শতাংশ ও আমদানি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার আমদানি শুল্ক, ৪ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকার ভ্যাট ও ৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকার কম আদায় হয়েছে।এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, রাজস্ব আদায় আগের চেয়ে বেশিই করছে এনবিআর। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯২ দশমিক ২৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ।