শুল্ক-কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি কমে এক অঙ্কের ঘরে নেমে গেছে। সরকারি সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত এক দশকের মধ্যে সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে আগের অর্থবছরের তুলনায় সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রবৃদ্ধির
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) চূড়ান্ত হিসাব এখনো আসেনি। আগামী ১৫ জুলাই ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। ঐ সময় শেষে বড় অঙ্কের অর্থ জমা পড়বে। ফলে ঘাটতি কিছুটা কমবে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়,
চলতি বছরের মে মাসে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ৬৪টি মামলা করা হয়েছে। যেখানে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৮২ টাকার মালামালের বিপরীতে প্রদেয় শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪৪ টাকা। এর
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। তবে পুরো অর্থবছরে ৩ লাখ
জাতীয় সংসদে চলতি বাজেট অধিবেশনে ‘আয়কর আইন ২০২৩’ পাস হতে যাচ্ছে। নতুন আয়কর আইনে আবাসন ও পুঁজিবাজারসহ বেশ কয়েকটি শিল্প খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বা ‘কালো টাকা’ বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে।
এখন থেকে বিদেশ ঘুরতে গেলেই কর অফিসে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে এ নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ জন্য নতুন আয়কর আইনে এমন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। শিগগিরই আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদের
মাঠ পর্যায় থেকে কর আদায় বাড়াতে সরকার বেসরকারি ব্যক্তি নিয়োগ করবে। তবে মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করার ক্ষমতা ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির থাকবে না। তারা শুধু করদাতাদের রিটার্ন প্রস্তুত ও জমায় সহায়তা করবেন।