দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

দরপতন ৮৫% শেয়ারের

টানা সাত কার্যদিবসের দরপতনের ধারা কাটিয়ে ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ইঙ্গিত ছিল গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে। সাত দিনে ১৩৬ পয়েন্ট হারানোর পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দু দিনে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট বেড়েছিল। এতে আশাও জাগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। কিন্তু চলতি সপ্তাহের প্রথম দু দিনে ফের দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার। দর হারিয়েছে সিংহভাগ শেয়ার।গতকাল সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৮০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৬টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ৩২৫টির দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির দর। এতে ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্ট হারিয়েছে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের মাঝে ২৪৯টি এবং শেষ পর্যন্ত ১৭২টি সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়। সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয় মাত্র একটি শেয়ার। সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হওয়ায় সিংহভাগ শেয়ার ক্রেতাশূন্য ছিল। পুরো সময়ে ৪৯টি শেয়ার রোববারের তুলনায় কম দরে কেনাবেচা হয়।


দরপতনের সুনির্দিষ্ট কারণ কেউ ব্যাখ্যা করতে পারছেন না। বাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনের লেনদেনে ছোট বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণই বেশি। অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট ব্যাপক। কোনো শেয়ার দু দিন বাড়লে তার পর আর শেয়ার ধরে রেখে ঝুঁকি নিতে চান না অনেক বিনিয়োগকারী। কিছুটা মুনাফা পেলে তাঁরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। তা ছাড়া যাঁদের বড় অঙ্কের ক্রয়ের প্রভাবে দর বাড়ে, সে ধরনের বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ কম। এটাও দরপতনের একটা কারণ হতে পারে।বর্তমান বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট কত প্রকট, তা বোঝাতে শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোনো শেয়ারের দর পড়তে থাকলে দ্রুতই ওই শেয়ারের বিক্রেতা বেড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই শেয়ার ক্রেতাশূন্যও হয়ে যাচ্ছে। দরপতন ঠেকাতে নিচের সার্কিট ব্রেকার মাত্র ২ শতাংশ নির্ধারণ করার কারণে এ অবস্থা হচ্ছে বলে জানান তিনি।