ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আদায় হয়েছে। যা ইতিমধ্যে ২০১৮ সালের বাণিজ্য মেলাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৮ সালে বাণিজ্য মেলায় ভ্যাটের মোট পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। শুক্রবার কাস্টমস ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষের ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা থেকে মোট ভ্যাট আহরণের পরিমাণ প্রায় ৫.৩০ কোটি টাকা। চলতি মেলায় আরো দুদিনে ৬ কোটি টাকার অধিক ভ্যাট সংগ্রহ হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে। মইনুল খান বলেন, সাধারণত মেলায় দিনে গড়ে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়ে আসছিল।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি ২৮ থেকে ৩টি দল গঠন করে মেলায় বিশেষভাবে তদারকি শুরু করে। এসব দল মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলে গিয়ে মূলত ব্যবসায়ীদের ভ্যাট আইন পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করে এবং তারা সাড়া দেন। দলগুলো ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
এসব মামলায় পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট অভিযুক্তদের বিভিন্ন অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। এসব অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি এবং ভ্যাট চালান ইস্যু করেনি। ভ্যাট বিভাগের তৎপরতায় মেলায় ভ্যাট আহরণ বেড়ে যায়।
মেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ পণ্যে ৫% ব্যাবসায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য। আইন অনুসারে প্রতিটি পণ্য ও সেবা ক্রয়ের সময় ভ্যাট চালান ইস্যু করা বাধ্যতামূলক।