নতুন আইনে রেয়াত নেয়ার সুযোগ সীমিত হওয়ায় ভ্যাটের বোঝা বাড়বে ভোক্তার ওপর। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান আইনে এ ধরনের সংশোধনী এনে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাট ব্যবস্থার উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন আইন অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এতে ১৫ শতাংশের একক হারের ভ্যাটের পরিবর্তে রাখা হয়েছে কয়েকটি স্তর। তবে ১৫ শতাংশের বাইরে যেসব পণ্য ও সেবা থাকবে সেগুলোতে রেয়াত পাওয়া যাবে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রেয়াত নেয়ার সুযোগ না থাকায় সরকারকে প্রকৃত হিসাব দেখাতে আগ্রহ পাবেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কমার সম্ভবাবনা নেই। আবার ব্যবসার প্রকৃত আয়-ব্যয় আড়াল করে আয়কর ফাঁকিও দিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কমিশনার মো. আব্দুল কাফি বলেন, এই পদ্ধতিটিকে যে পেছনের দিকে সংশোধন করা না হয়। সেদিকে এমবিআর এবং ব্যবসায়ী উভয়েরা যেন এগিয়ে যান।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রেয়াত নেয়ার সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেক পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের প্রকৃত মাত্রা ৩৭.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে। এতে ভ্যাটের বোঝা বাড়বে ভোক্তার ওপর। আবার আইন অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ঘোষণা দেবেন, যা মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা।
পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালনক আহসান এইচ মনসুর বলেন, যদি মানবিক দিক দেখা হয় তাহলে সর্বোচ্চ ভ্যাট হতে পারে ৩৭.৫ শতাংশ। আর সর্বনি¤œ হবে ১৫ শতাংশ। কিন্তু আগেরটি অন্তত ১৫ শতাংশ হতে পারতো।
১৯৯১ সালের আইনের মাধ্যমে দেশে চালু হয় ভ্যাট ব্যবস্থা। কিন্তু এ আইনে বিভিন্ন সময়ে কাটা ছেঁড়ার পর ২০১২ সালে নতুন আইন করে সরকার। ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সংশোধনী এনে ৬ বছর পর নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।