বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডি
No icon

লাইসেন্সিং বিধিমালার সংশোধন চায় কাস্টমস

বিদ্যমান বিধিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, লাইসেন্স বা নিবন্ধন ছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা করা যাবে না। ব্যবসা করতে গেলে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতির সদস্যপদও থাকতে হবে। অথচ দেশের অনেক কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে। লাইসেন্স না থাকা এবং নবায়ন না করায় এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করছে। এ সমস্যা সমাধানে কুরিয়ার সার্ভিস (শুল্কায়ন) পরিচালনা এবং লাইসেন্সিং বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। সম্প্রতি ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার একেএম নূরুল হুদা আজাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যের (কাস্টমস রপ্তানি, বন্ড ও আইসিটি) কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, নতুনভাবে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন বা সংশোধনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে।প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিমালা দিয়ে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হচ্ছে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এর কোনো নিজস্ব আইন না থাকায়, সরকার মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন ২০২৩ নামে একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, যার খসড়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই বিদ্যমান কুরিয়ার সার্ভিস (শুল্কায়ন) পরিচালনা এবং লাইসেন্সিং বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজনের কথা জানাল ঢাকা কাস্টমস হাউস।

এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস রপ্তানি, বন্ড ও আইসিটি) বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজতর (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন) করতে কুরিয়ার সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ঢাকা কাস্টমস হাউসের অধীনে আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ বা ভাড়ায় পাওয়া ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের জায়গায় ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে কুরিয়ার সার্ভিস পরিচালনার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ৬৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডাক বিভাগ থেকে লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ নানা ধরনের অনিয়মে জড়ানোয় ৩১ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নেই। ফলে এখন ৩৭ প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এনবিআরের জারি করা কুরিয়ার সার্ভিস (শুল্কায়ন) পরিচালনা এবং লাইসেন্সিং বিধিমালা অনুসারে কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ বিষয়ে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তি, তারা ডাক বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়েছে, তাই কাস্টমস হাউস থেকে দ্বিতীয়বার লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া বিধি-৪ এর উপবিধি-৫ এর শর্তানুসারে কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সঙ্গে পণ্য সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনের অভ্যন্তরে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাওয়া স্থান বরাদ্দের কপি দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।অন্যদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে অসংখ্য কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে লাইসেন্স ছাড়াই। এ সংখ্যা ৫ শতাধিক হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ফেসবুকভিত্তিক কুরিয়ারের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। কিন্তু এগুলোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছামতো ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।