ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

৯ মাসে মূল্যস্ফীতি সাড়ে আটের নিচে নামেনি

জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। এতে পণ্য বা সেবা কিনতে আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে হয়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত এক বছরে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম সাড়ে ৪ থেকে ৭ শতাংশ বেড়েছে। চাল কিনতেই সংসার খরচের ২৫ শতাংশের মতো খরচ হয়। এ ছাড়া আটার দাম ২১ শতাংশ, পেঁয়াজ ৭২-৮৬ শতাংশ, অ্যাংকর ডাল ২ শতাংশ, দেশি মরিচ ৯৫ শতাংশ, হলুদ ১৯ শতাংশ, চিনি ৬২ শতাংশ, লবণ ১৮ শতাংশ, ডিমের দাম ২৩ শতাংশ বেড়েছে। আর মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্য যেমন খাতা-কলম, পোশাক, তেল, সাবান প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। যাতায়াত খরচেও বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

গত বছরের আগস্ট মাসে হঠাৎ করে অকটেন, পেট্রলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৩৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর কয়েক দফা গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়। আবার ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্যে বেশি দামে আমদানি করতে হয়েছে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি এক লাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়। এরপর কোনো মাসে বেড়েছে, কখনো কমেছে। কিন্তু গত ৯ মাসে সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়।