দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

রিটার্নে ভুল হলে কী করবেন

মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, ভুল হতেই পারে। বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্নে অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে পারে। করের হিসাব করতে গিয়েই সাধারণত বেশি ভুল হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষ এমনিতেই আয়কর নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকেন। এমন অবস্থায় যদি রিটার্নে ভুল করেন, তাহলে আপনি হয়তো ভাবছেন, উপায় নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দুশ্চিন্তার কারণ নেই, উপায় আছে। আপনি রিটার্নের ভুল ঠিক করতে পারবেন। এবার দেখা যাক, কীভাবে রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন। আয়কর অধ্যাদেশের ৮২ বিবি (৫) ধারায় ভুল সংশোধনী রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সব ধরনের শর্ত পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোনো করদাতা রিটার্ন দেওয়ার পর যদি দেখেন যে অনিচ্ছাকৃত ভুলে রিটার্নে কম আয় দেখিয়েছেন, কম কর পরিশোধ করেছেন কিংবা বেশি কর রেয়াত, কর অব্যাহতি বা অন্য কোনো কারণে কম কর পরিশোধ করেছেন। হিসাবের ভুলেও এমন হতে পারে। তাহলে আয়কর অধ্যাদেশের ৮২ বিবি (৫) অনুযায়ী একটি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে এই রিটার্ন জমা দিতে হয়। রিটার্নের ওপরে অবশ্যই ৮২ বিবি (৫) ধারায় দাখিলকৃত কথাটি অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।

এই ধরনের ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, কী ধরনের ভুল করা হয়েছে এবং কারণ কী, তা জানাতে হয়। যেমন কারও প্রকৃত কর ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এ বছর করমুক্ত আয়সীমা ও করহার পরিবর্তনের কারণে হয়তো ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। তাহলে হিসাবজনিত ভুলের কারণ উল্লেখ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যে পরিমাণ কর কম পরিশোধ করা হয়েছে, সেই টাকা এবং সেই টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে। এই টাকা ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার আগে বা জমার সময় অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। যেমন ২০০০ টাকা কম কর দিলে ওই ২০০০ টাকার ওপর ২ শতাংশ সুদ বসবে।

আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপকর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদে ৮২ বিবি (৫) ধারায় জমা গ্রহণ করা হলো লেখাটি অবশ্যই থাকতে হবে।

মনে রাখবেন, রিটার্ন জমার ১৮০ দিন বা ৬ মাস পার হয়ে গেলে কিংবা আপনার রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য বাছাই করা হলে ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না। কোনো করদাতা যদি এই তথ্য না জেনে ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দিয়ে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে তা সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলে গ্রহণযোগ্য হবে না।