দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

৬৩% টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেননি

গত রোববার ২০২১-২২ বছরের রিটার্ন জমার সময়সীমা শেষ হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাথমিক হিসাবে, ব্যক্তিশ্রেণির মাত্র ৩৭ শতাংশ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। অথচ করযোগ্য আয় নেই, এমন জমি ক্রেতা ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী ছাড়া বাকি সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। সেই হিসাবে  প্রায় ৪০ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন দেননি।

২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ জন করদাতা তাঁদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের রিটার্ন জমা দিয়েছেন। রিটার্ন দেওয়া এমন করদাতার সংখ্যা মোট টিআইএনধারীর মাত্র ৩৭ শতাংশ। গত জুন মাস পর্যন্ত মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬০। অবশ্য এখন তা ৬৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে প্রান্তিক করদাতার সংখ্যাই বেশি। তাঁদের পক্ষে করের জটিল হিসাব-নিকাশ করা কঠিন। আবার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থাও জনপ্রিয় করা যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, করের হিসাব-নিকাশ সহজ করলে প্রান্তিক করদাতারা কর দিতে উৎসাহিত হবেন। এতে করদাতার সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
আমিনুর রহমান উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতে কোনো ছোট ব্যবসায়ীর বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ রুপির মধ্যে থাকলে তাঁকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলেই হয়। এ জন্য ভারতীয় কর কর্তৃপক্ষ কোনো নিরীক্ষা বা তদন্ত করে না। বাংলাদেশেও এ ধরনের ব্যবস্থা চালু করা হলে ভালো সুফল পাওয়া যেতে পারে।