ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই টাকা-রুপির লেনদেনে বেশি উপকৃত হবেন

আমরা আইবিসিসিআই থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টাকা-রুপির লেনদেন চালু করতে গত অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। অবশেষে এটি চালু হচ্ছে। ভারত থেকে আমরা ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি। আর দেশটিতে আমাদের রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে আপাতত আমরা ২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য টাকা-রুপিতে করতে পারব। তাতে ওই পরিমাণ ডলার বাঁচবে, যা অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যবহার করতে পারব। 

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের টাকা থেকে ডলার, তারপর ডলার থেকে রুপিতে বিনিময় করতে গিয়ে ৪-৬ শতাংশ অতিরিক্ত খরচ হয়। টাকা-রুপির লেনদেন চালু হলে এ খরচ বেঁচে যাবে। আবার ডলারে ঋণপত্র খুলতে ব্যবসায়ীরা একধরনের অনিশ্চয়তায় থাকেন। কারণ গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ঘন ঘন কমেছে। কিন্তু টাকা-রুপির লেনদেনে সেই অনিশ্চয়তা সেভাবে নেই। কারণ, রুপির বিপরীতে টাকার মান তেমন একটা কমেনি। বর্তমানে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক এবং ভারতের দুটি ব্যাংক টাকা-রুপিতে ঋণপত্র খুলবে।

সামনের দিনগুলোয় ব্যাংকের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে ব্যবসায়ীদের খুব একটা সমস্যা হবে না। যে কেউ এই সুযোগ নিতে পারবেন। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই টাকা-রুপির লেনদেনে বেশি উপকৃত হবেন। কারণ, ডলার সংকটের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। সে জন্য আমরা টাকা-রুপিতে ঋণপত্র খুলতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছি।