কর ফাঁকি ধরতে আসছে নতুন সফটওয়্যারমোবাইলে কত রিচার্জ করেন, জানাতে হবে এনবিআরকেনতুন আইন আয়কর আইনে ২২ খাতের আয়ে আছে কর অব্যাহতি সুবিধানিরীক্ষায় পড়লে একজন করদাতার পেছনে ছুটবেন সাত কর্মকর্তাপাকিস্তানকে সতর্ক করল বিশ্বব্যাঙ্ক
No icon

মে মাসে রাজস্ব ফাঁকির ৬৪ মামলা

চলতি বছরের মে মাসে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ৬৪টি মামলা করা হয়েছে। যেখানে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৮২ টাকার মালামালের বিপরীতে প্রদেয় শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪৪ টাকা। এর বিপরীতে অতিরিক্ত ১৫ কোটি ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৪ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।একই সময়ে ১৮৪টি চালান নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব চালানে মালামালের মূল্য ৯০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ৮২৬ টাকা। মালামালের বিপরীতে প্রদেয় শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ কোটি ৮৯ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৩ টাকা। এর বিপরীতে অতিরিক্ত ২১ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৯৬০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।আলোচ্য সময়ে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ২২৩ টাকা মূল্যের অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এতে শুল্ককরের পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ১২ হাজার ৯৩৩ টাকা। এর বিপরীতে অতিরিক্ত ৬৯ হাজার ২১৮ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এয়ারফ্রেইট সার্কেলে আটটি রাজস্ব ফাঁকির মামলা উদঘাটিত হয়। চার কোটি ১৪ লাখ টাকার মালামালের বিপরীতে শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। একই সময়ে ২২টি চালান নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব চালানে মালামালের মূল্য চার কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মালামালের বিপরীতে প্রদেয় শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে অতিরিক্ত ৭৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দর সার্কেলে ১৬টি রাজস্ব ফাঁকির মামলা উদঘাটিত হয়। এক কোটি ৯৭ লাখ টাকার মালামালের বিপরীতে শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮ লাখ টাকা। এতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা। একই সময়ে ৫৬টি চালান নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব চালানে মালামালের মূল্য ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মালামালের বিপরীতে প্রদেয় শুল্ককরের পরিমাণ দাঁড়ায় সাত কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে অতিরিক্ত দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। আইসিডি সার্কেলে ২১টি রাজস্ব ফাঁকির মামলা ও ৪২টি নিষ্পত্তিকৃত চালানে ২৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। পানগাঁও সার্কেলে ১৭টি রাজস্ব ফাঁকির মামলা ও ২৭টি নিষ্পত্তিকৃত চালানে ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। বেনাপোল সার্কেলে তিনটি রাজস্ব ফাঁকির মামলা ও ১৬টি নিষ্পত্তিকৃত চালানে দেড় কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।