TAXNEWSBD
সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা ওয়াসা থেকে
মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

প্রকাশ্যে ওয়াসার লাইনে পাম্প লাগিয়ে রাজধানীর দিলকুশায় পানির অবৈধ ব্যবসা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। হোটেল, রেস্তোরা, অফিস- আদালত, নানা বাণিজ্যিক অফিস আর ফুটপাতের টংঘরে এ পানি নগদ দামে বিক্রি হয় বড় বড় ড্রামে ভরে। এটি এখন নুরুর পাম্প নামে পরিচিত। এই অবৈধ কারবারের মূল হোতা যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নুরু বলে জানিয়েছে ওয়াসা আর স্থানীয়রা। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ওয়াসার পানি চুরির হিড়িক। তাও একদিন নয়, দুইদিন নয়, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। সারি সারি ড্রাম ভর্তি পানি যাচ্ছে নুরুর পাম্প থেকে। তাও আবার দিনের বেলায়, খোদ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকার মতো জনবহুল স্থানে। কিন্তু কারো টু শব্দ করার জো নেই। কারণ পানি যারা বিক্রি করছে তারা এলাকায় প্রভাবশালী। এলাকাবাসী বলছেন, শুধু দিলকুশা নয়, ফকিরাপুল, দৈনিকবাংলা মোড়, স্টেডিয়ামপাড়া, মতিঝিলসহ আশপাশের বিস্তির্ণ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অফিস ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয় এই চোরাই পানি। এভাবে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নেয়ার কারণে ওয়াসারা স্থানীয় গ্রাহকরা নিয়মিত পানি পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ আছে।

স্থানীয়রা আরো বলেন, ওয়াসা থেকে যে পানি চুরি করছে এই নুরু দিলকুশা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি। স্থানীয় যুবলীগেরও নেতা তিনি।

অভিযোগ ওঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে ওয়াসার কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে এই অবৈধ কারবারে। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না পানি চুরি।

এব্যাপারে ওয়াসার জোন ১ এর সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি। পানি চুরির সাথে জড়িত নুরুল ইসলাম নুরুর কথা বলেননি। তবে ঢাকা ওয়াসার উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী পানি চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। এভাবে পানি চুরির কারণে ওয়াসা বছরে অন্তত ১১ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, বলছেন কর্মকর্তারা।