বাংলাদেশের জন্য করোনা একটি দুর্যোগ বলে অভিহিত করেছেন অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, এবারের বাজেট বেঁচে থাকার বাজেট। তারা বলেছেন, আমাদের মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশে, যেখানে কয়েক বছরের নিরন্তর চেষ্টায় উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে স্থিতিশীল অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সেখানে এই অপ্রত্যাশিত সংকটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কৌশলে ভিন্নমাত্রিক পুনঃবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২০ মে) কোভিড-১৯ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট প্রস্তাবনার সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি কর্তৃক আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আলোচনায় চেয়ার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, গেষ্ট অব অনার হিসবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সিনেট সদস্য এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষণা সংস্থা সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রহমান, অধ্যাপক ড. তৈয়াবুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম। আলোচনা সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান হোসেন ভুঁইয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড.কাজী মারফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ।
ড. সেলিম রায়হান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাড়তি বাজেট বরাদ্দ দিতে এ বছরের বাজেট ঘাটতি প্রথাগত যে ৫ শতাংশ ঘাটতি বাজেট রাখা হয়, এর থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত করা যাবে বলে পরামর্শ দেন।
ড. তৈয়েবুর রহমান একটি অংশগ্রহণমূলক বাজেট তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং উন্নত বিশ্বের বরাত দিয়ে বাজেট তৈরিতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আরো সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ স্বাস্থ্যগত, অর্থনৈতিক এবং মানবিক এমন ত্রিমুখী সংকটে আছে। এ অবস্থায় আমাদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের সব ধরনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং সামনের বাজেটেই সহযোগিতা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান করছি।
প্রধান অতিথির ভাষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দেন।