বঙ্গবন্ধুর নামে থাকা প্রতিষ্ঠানে অনুদানে করছাড় বাতিল করছে সরকারখেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমলদেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ
No icon

সোয়া দুই লাখ কোটি টাকার নতুন এডিপি

সরকার আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে, যা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ২০ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা বেশি। নতুন এডিপিতে সরকার জোগান দেবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে আসবে বাকি ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন এডিপি অনুমোদন করা হয়। এতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও গৃহায়ণ খাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ সভায় যোগ দেন। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাতে নয়, সব খাতেই গবেষণার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পে ঢালাওভাবে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

এম এ মান্নান আরও বলেন, করোনার প্রভাবে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। আগামী অর্থবছরে সেসব প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আগামী অর্থবছরের এডিপিতে ১০টি বৃহৎ প্রকল্পে মোট ৫৪ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা পেয়েছে। এরপর মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে (পিইডিপি-৪) ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেট্রোরেল ৪ হাজার ৮০০ কোটি, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ৩ হাজার ৮২৩ কোটি এবং পদ্মা সেতু ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছে।
আগামী অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য রাখা হয়েছে নতুন এডিপিতে। সরকারি বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে ৮৮টি প্রকল্প।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ মান্নান জানান, মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হওয়ার পেছনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও কৃষকদের শ্রম অবদান রেখেছে। প্রবাসী ও কৃষকদের শ্রমের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে এবং টিকে থাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতের বহুল আলোচিত দুটি প্রকল্পে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা টিকাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় খরচ হবে। গত বছর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় প্রকল্প দুটিতে আশানুরূপ টাকা খরচ হয়নি।