কর অব্যাহতি পেল গ্রামীণ ব্যাংক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনশুল্ক কমানোর খবরে কমছে চিনির দরদর পতনের শীর্ষে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজিলাল তালিকামুক্ত হলো পাকিস্তানি সব পণ্যশতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন
No icon

নতুন বছরে দোকানে বসছে ইএফডি মেশিন

ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) প্রথম চালান দেশে এসে গেছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন দোকানে স্থাপন হবে এই ডিভাইস। ভ্যাট ফাঁকি রোধে ইএফডি একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসতে যাওয়া এই মেশিনগুলো সরাসরি যুক্ত থাকবে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সঙ্গে। এনবিআর বলছে, প্রথম দফায় দেশে ১০ হাজার ইএফডি বসানো হবে। চীনের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সিনেসিস আইটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।মঙ্গলবার কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের নতুন ইউনিফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ইএফডি মেশিন দেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইএফডি মেশিনের প্রথম চালান দেশে এসে গেছে। আমরা আশা করছি এই মাসের শেষের দিকে বা বছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন দোকানে আমরা স্থাপন করতে যাব। প্রাথমিক পর্যায়ে যাদেরকে দেওয়া হবে সেটি অর্থমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এটা হলে ভ্যাটে একটা নিয়মশৃঙ্খলা আসবে। একই সাথে সমস্ত সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, বিমানবন্দরে স্ক্যানার স্থাপন করছি। কিছু স্ক্যানার এখনি আছে তবে যেসব জায়গা এখনো অরক্ষিত সেসব জায়গায় যেন শতভাগ স্ক্যানিং করা যায় সেজন্য আমরা এরইমধ্যে টেন্ডার করেছি। একই সাথে মানিলন্ডারিং, ওভারইনভয়েসিং, আন্ডারইনভয়েসিং এগুলো প্রতিরোধ করার দায়িত্ব কাস্টমসের। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই ইলেকট্রনিক সিল লক চালু করা হবে। ভারত, নেপাল, ভুটানের কাছে আমাদের বন্দর উন্মুক্ত করেছি। কাজেই আমাদের বন্দর বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর তারা ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক সিলের প্রয়োজন হবে। যদি আমরা এটি ব্যবহার না করি তাহলে ইলেকট্রনিক সিল লকের যে কাজটি সেটা পুরোই ভারতীয় বা অন্যান্যদের কাছে চলে যাবে। সেজন্য এটি আমাদের করতে হবে। অপরদিকে এক্সপোর্ট, ইমপোর্টে স্বচ্ছতা আসে তাহলে বিদেশেও ভাবমূর্তি বাড়বে। উন্নয়নের দিক দিয়ে সারাবিশ্বে আমাদের ভাল অবস্থান আছে। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে না পারি তাহলে আমাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।

এনবিআর সূত্র জানা যায়, ২৪ ধরনের প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে ইএফডি। যার মধ্যে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুড, ডেকোরেটরস ও ক্যাটারার্স, মোটরগাড়ির গ্যারেজ-ওয়ার্কশপ এবং ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, স্বর্ণকার-রৌপ্যকার ও স্বর্ণ পাইকারি, আসবাবপত্র বিক্রয়কেন্দ্র, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, বিউটি পার্লার, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, সামাজিক ও খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব, তৈরি পোশাক বিপণন, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, শপিং সেন্টার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর/সুপারশপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক লন্ড্রি, সিনেমা হল ও সিকিউরিটি সার্ভিস। মূলত আগে যারা ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ব্যবহার করতেন তাদের ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক।