বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআরইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
No icon

বাংলাদেশকে ঋণসহায়তার শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আইএমএফ ঢাকায় এসেছে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সফরকারী আইএমএফ মিশনটি আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবে। মিশনটি ২৫ এপ্রিল থেকে আগামী ২ মে পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের  সঙ্গে বৈঠক করবে। বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের প্রায় তিন মাস পর ঋণের শর্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশনটি ঢাকায় এসেছে। বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণসহায়তার শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের স্টাফ কনসালটেশন মিশন। আইএমএফের ছয় থেকে আট সদস্যের এ মিশনের নেতৃত্বে থাকবেন সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। তবে তিনি কয়েক দিন পর যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।

আইএমএফ গত ৩০ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এর তিন দিন পরই প্রথম কিস্তিতে ছাড় করেছে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে দেবে পুরো অর্থ।

 ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের একটি দল আসবে আগামী সেপ্টেম্বরে। সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। তবে এবার বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়গুলোও আলোচনায় আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের স্টাফ কনসালটেশন মিশনের আসার কথা জানিয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছেন আইএমএফের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান (আবাসিক প্রতিনিধি) জয়েন্দু দে। চিঠিতে তিনি ঋণ কর্মসূচির বিপরীতে আইএমএফকে দেওয়া বাংলাদেশের শর্ত পূরণের হালনাগাদ চিত্র প্রস্তুত রাখতে দপ্তরপ্রধানদের অনুরোধ করেছেন।

আইএমএফের ঋণের জন্য ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর্থিক খাতের আবার বড় অংশজুড়ে রয়েছে ব্যাংক খাত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে।

ঢাকা সফরকারী মিশনটি বাংলাদেশে ডলারের বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু, আগামী জুনের মধ্যে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাবায়ন পদ্ধতি ও ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক তদারকব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রতিবছর ব্যাংকগুলোর খারাপ ঋণের তথ্য প্রকাশ, ব্যাংকের পুনঃতফসিল করা ঋণকে খেলাপি ঋণের হিসাবে আনা, বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলবে।

এ ছাড়া আইএমএফ মিশনটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, তাদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পুনর্মূলধন, খেলাপি ঋণের অবস্থা, তারল্য পরিস্থিতি, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, ব্যাংক কোম্পানি আইন ও ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন সংশোধন এবং দেউলিয়া আইন প্রণয়নসহ পাঁচটি আইন প্রণয়নের অগ্রগতি জানতে চাইবে।