সন্ত্রাস দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১০টি অত্যাধুনিক সশস্ত্র যান আমদানি করে। তবে প্রকল্পে তহবিলের অভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাড়িগুলো খালাস করতে পারছে না।সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব গাড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে। জাপান সরকারের অনুদানে প্রাপ্ত এই ১০টি আর্মড ভেহিক্যালের শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ ১৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৫ টাকা ডেফার্ড পেমেন্টের (বিলম্বে পরিশোধ) মাধ্যমে ছাড়ের অনুমতি দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত দুটি চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।পুলিশের চিঠিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাত্রিকালীন পুলিশের অপারেশন পরিচালনার জন্য ৫টি ফ্লাডলাইট ভেহিক্যাল, ১০টি আর্মড ভেহিক্যাল এবং বিদেশি
নিরাপত্তার জন্য ২০টি এসকর্ট ভেহিক্যাল সংগ্রহ করা হবে। এই প্রকল্পের বিশেষায়িত যানবাহনসমূহ জাপানস এইড ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের অধীনে জাপান সরকার তার অনুমোদিত এজেন্সি জেআইসিএসের মাধ্যমে জাপান থেকে ক্রয় করে বাংলাদেশ পুলিশ অধিদপ্তরকে সরবরাহ করবে।প্রকল্পের আওতায় ১০টি আর্মড ভেহিক্যাল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। কাস্টমস যানবাহনসমূহের সিডি ও ভ্যাট ১৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ছাপান্ন হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। মূল ডিপিপিতে এ খাতে মোট ৩৯ দশমিক ৩২ কোটি টাকার সংস্থান ছিল।অন্যদিকে জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, প্রকল্পের জন্য রিলিজিং তহবিল বিলম্বিত হওয়ায় বিভিন্ন অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এসব যানবাহন ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছে।