এনবিআর ও কাস্টমসের জটিলতা নিরসনের দাবি তৈরি পোশাক ক্রেতাদেরমার্কিন শুল্ক সুবিধা কাজে লাগাতে কৌশল নেওয়ার পরামর্শ ৪০ ক্রেতারদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩১৪৩২ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলারঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর পতনের শীর্ষে এইচ আর টেক্সটাইলঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর পতনের শীর্ষে জিএসপি ফাইন্যান্স
No icon

মার্কিন শুল্ক সুবিধা কাজে লাগাতে কৌশল নেওয়ার পরামর্শ ৪০ ক্রেতার

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোয় প্রতিযোগী অনেক দেশের চেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশের পণ্য। এ সুবিধা কাজে লাগাতে তৈরি পোশাকের মান উন্নয়ন, বৈচিত্র্য আনা ও নিজস্ব ডিজাইনে গুরুত্ব দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন ৪০ ব্র্যান্ড-ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এ জন্য তারা উদ্ভাবনী পণ্য উৎপাদনে গবেষণা ও উন্নয়নে মনোযোগ বাড়াতে বলেছেন। প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের আশ্বাসও দিয়েছেন তারা।গতকাল বুধবার তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেতাদের জোট বায়ার্স ফোরামের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আগামীতে অংশীদারিত্বমূলক কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পরাস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা।রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন শুল্ক সুবিধা কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা ও পণ্যের মান উন্নয়নে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলিজর (বিজিইউএফটির) কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ।

বৈঠকে সূত্রমতে, ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে আরও যেসব পরামর্শ দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে টেকসই সরবরাহ চেইন নিশ্চিত করতে লজিস্টিক উন্নয়ন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর ও কাস্টমসবিষয়ক জটিলতা দূর করা, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশগত উন্নয়ন। বিইউএফটির কারিকুলাম উন্নয়নে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়েও আশ্বাস দেন তারা। এ ছাড়া শ্রম খাতের সংস্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে মসৃণ এবং টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, মিজানুর রহমান, ভিদিয়া অমৃত খান, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, ফয়সাল সামাদ, শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ, মোহাম্মদ সোহেলসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ সোহেল  বলেন, বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে বিজিএমইএর এত বড় বৈঠক এর আগে কখনও হয়নি। ৪০টি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন। তারা সবাই বলেছেন, মার্কিন পাল্টা শুল্ক হার নির্ধারণের পর প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশ একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে তারা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু সহযোগিতাও করতে চান তারা। মার্কিন শুল্কের বাইরে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অডিট এবং কমপ্লায়েন্সে একটি অভিন্ন মানদণ্ড প্রণয়নের কথা জোর দিয়ে বলেছেন তারা। কারণ ব্র্যান্ড ক্রেতাদের ভিন্ন ভিন্ন অডিট এবং কমপ্লায়েন্স শর্ত পরিপালনে অহেতুক ঝামেলা তৈরি হয়। ব্যয় বাড়ে। এসব বিষয়ে জটিলতার কথা ব্র্যান্ড-ক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও স্বীকার করেছেন।বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারের সাম্প্রতিক অগ্রগ্রতি তুলে ধরে বলেন, এই সংস্কারগুলো শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্যই নয়, বরং একটি টেকসই ও নিরাপদ শিল্প পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য। তিনি ব্র্যান্ডগুলোকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের এই ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশীদার হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।