দেশে উৎপাদিত প্রসাধনীতে করের বোঝা, আমদানিতে ছাড়ভোজ্যতেল আমদানিতে কমলো ভ্যাটখেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশঅনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও নিবন্ধন করবেন যেভাবেনবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেওয়া হচ্ছে ১০ বছরের কর অব্যাহতি
No icon

গরুর মাংস আমদানি করলে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব: তপন কান্তি ঘোষ

বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশে তা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। তবে দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে গরুর মাংস আমদানি করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গরুর মাংসের দাম নিয়ে কথা বলেন বাণিজ্যসচিব। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব বলেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংস আমদানি করা গেলে ভোক্তারা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি তে গরুর মাংস খেতে পারবে। এখন হয়তো ৮০০ টাকায় তাদের এই মাংস কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এটা (বাড়তি দামের দায়) ভোক্তাদের ওপর দেওয়া হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীদের সুরক্ষা ও সহযোগিতা করার জন্য। ডিম, মুরগিসহ অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। 

সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ভোক্তাদের সুবিধা দিতে হলে আমদানিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলো আমদানিতে কোনো বিধি-নিষেধ দেয় না। কিন্তু আমরা বিভিন্ন পণ্যে আমদানিতে অনেক বিধি-নিষেধ দিয়ে রেখেছি। কারণ দেশে প্রচুর মানুষ বেকার। ফলে আমাদের আত্মকর্মসংস্থানে যেতে হবে। এ জন্য তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতেই এসব বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়। ’তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে না। এ জন্য বুঝেশুনে নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন। কেননা কাঁচামালসহ বিভিন্ন স্তরের পণ্যে কী পরিমাণে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে এবং এর প্রভাব কোথায় হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখা দরকার।