ব্যক্তি করদাতা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করে থাকেন। দাখিলের সময় করদাতাকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেয়া হয়। এবং এটাই কর নির্ধারনী আদেশ বলে গণ্য হয়। রিটার্ন দাখিলের পর করদাতা যদি জানতে পারেন তার রিটার্নে অনিচ্ছাকৃত ভুলে কম আয় প্রদর্শন বা কম কর প্রদান করা হয়েছে, বেশি রেয়াত নেয়া হয়েছে, অথবা অন্য কোন কারনে কোন অংশ কম পরিশোধ বা পরিগণনা করা হয়েছে তাহলে করদাতা নিজ থেকে উপ-কর কমিশনারের বিবেচনার জন্য একটি ভুল সংশোধনী রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে ভুল রিটার্ন দাখিল করতে গেলে নিচের শর্তগুলো পালন করতে হবেঃ
১। ভুল সংশোধনী রিটার্নের সাথে ভুলের ধরন ও কারন উল্লেখপূর্বক লিখিত বিবরণী দাখিল করতে হবে।
২। যে পরিমান কর কম পরিশোধ করা হয়েছে তার সাথে মাসিক ২% করে সুদ ভুল সংশোধনী রিটার্ন দাখিলের আগে বা দাখিলের সময় পরিশোধ করতে হবে।
৩। ভুল সংশোধনী রিটার্নে ৮২বিবি(৫) ধারায় দাখিলকৃত কথাটি উল্লেখ থাকতে হবে।
এখন ভুল সংশোধনী রিটার্ন দাখিলের পর উপ-কর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সকল শর্ত পালন করেই রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে তাহলে তিনি রিটার্ন গ্রহণ করবেন। এবং একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ইস্যু করবেন যেখানে লেখা থাকবে ৮২বিবি(৫) ধারায় জমা গ্রহণ করা হল।
তবে আপনাকে ভুল সংশোধনী রিটার্ন অবশ্যই স্বনির্ধারনী রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে। আবার মূল রিটার্নটি যদি অডিটে পরে যায় তাহলে আর ভুল সংশোধনী রিটার্ন দাখিল করা যাবে না বা দাখিল করলেও তা গ্রহনযোগ্য হবে না।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শেষ দিকে তাড়াহুড়া করে রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে কিছু তথ্য বাদ পরে যায়। মনে না থাকার কারনে এমন হয়। আবার সারা বছরের হিসেব যেহেতু আয়কর রিটার্নে দাখিল করতে হয় তাই এটাও একটা কঠিন কাজ।
অনেকেই সারা বছর ধরে আয়-ব্যয় খাতায় লিখে রাখেন না। তাই মনে রাখাও সম্ভব হয়না।
বিশেষত, বিশেষ কিছু আয় বা খরচ লিখে রাখা জরুরি। যারা লিখে রাখেন তাদের ক্ষেত্রে রিটার্ন তৈরি করা সহজ হয়ে যায়। তাই রিটার্ন তৈরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাতে সময় নিয়ে রিটার্ন তৈরি করা। তাহলেই ভুলের পরিমান অনেকাংশে কমে যাবে।
আগামী নভেম্বরের ৩০ তারিখ হতে যাচ্ছে ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল এড়াতে রিটার্ন তৈরি করুন এখনই।