বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে করের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে সরকার। তবে এ সুবিধা পেতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যেতে হবে। উৎপাদনের তারিখ থেকে আগামী ২০৩৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জিত আয়ের ওপর কোম্পনিগুলোকে কোনো কর দিতে হবে না। এছাড়াও আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে করছাড় দেয়া হয়েছে। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সদ্যসাবেক সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া গত ৯ জানুয়ারি এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন। প্রজ্ঞাপনটি আজ (রোববার) জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর সেকশন ৪৪ এর সাব সেকশন (৪) এর ক্লজ (বি) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কর অব্যাহতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ জন্য প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশে নির্ধারিত সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষে উক্ত পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনসারে, দেশের যেসব প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হবে তারা এ সুবিধা পাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোম্পানির কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় অর্জিত আয়ের ওপর বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ থেকে ২০৩৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কর দেয়া লাগবে না।
এছাড়া কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর, বাংলাদেশে তাদের আসার দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর কর প্রযোজ্য হবে না। কোম্পানি কর্তৃক গৃহীত বৈদেশিক ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ওপর কোনো করারোপ হবে না।
কোম্পানি কর্তৃক প্রদেয় রয়্যালটিস, টেকনিক্যাল নো-হাও অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফির ওপর কর দিতে হবে না। এছাড়াও কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ফলে উদ্ভুত মূলধনী মুনাফার ওপরও কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবে কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।