ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

নভেম্বর মাসজুড়ে কর মেলার যাবতীয় সুবিধা দেওয়া হবে

নভেম্বর মাস মানেই কর মেলার মাস। কিন্তু করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও কর মেলার আয়োজন করছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। তবে প্রতিটি কর কার্যালয়ে করদাতাদের নভেম্বর মাসজুড়ে কর মেলার যাবতীয় সুবিধা দেওয়া হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার থেকে প্রতিটি কর কার্যালয়ে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র থাকবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা করা হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া হবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তিস্বীকারপত্র। এ ছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তাদের রিটার্ন জমার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করছে এনবিআর। তাঁদের জন্য ১ থেকে ১৫ নভেম্বর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করবে কর অঞ্চল-৪। পাশাপাশি প্রতিবারের মতো সচিবালয়েও বিশেষ বুথ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় তাঁদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখিয়ে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের জন্য নভেম্বর মাসে একটি নির্দিষ্ট স্থানে দুই দিন বিশেষ রিটার্ন বুথ স্থাপন ও কর তথ্য সেবা প্রদান করা হবে।

আয়কর বিবরণী জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। দেশে এখন ৬২ লাখ টিআইএনধারী আছে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সবার রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। অবশ্য গতবার মাত্র ২৫ লাখের মতো করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।

প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ১৪১ জন সেরা করদাতাকে কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হবে। ২৪ নভেম্বর এনবিআর সম্মেলনকক্ষে সেরা ১০ ব্যক্তি করদাতা এবং ১০ কোম্পানি করদাতাকে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্যরা সম্মাননা পাবেন নিজ নিজ কর কার্যালয়ের মাধ্যমে। ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে এবার আগের মতো শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে না। তবে সভা-সেমিনারের আয়োজন থাকবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফান্ড পাবেন করদাতারা।
নতুন আয়কর আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সেগুনবাগিচার এনবিআর সম্মেলনকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে নতুন আইনের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করদাতার কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে উৎসে অতিরিক্ত কর কাটা হয়। বছর শেষে ওই করদাতার করের পরিমাণ যদি কেটে রাখা উৎসে করের চেয়ে কম হয়, তবে ওই করদাতার ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা ফেরত যাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পাচার রোধে ট্রান্সফার প্রাইসিং ও কর এড়ানোর বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর কর্মকর্তাদের স্ববিবেচনাপ্রসূত ক্ষমতা কমানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আয়কর আইনটি বাংলা ভাষায় হবে। সহজ ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এনবিআরের ওয়েবসাইটে আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব অংশীজনেরা মতামত দিতে পারবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব মতামত পর্যালোচনা করে খসড়া আইনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে এনবিআর।