অনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআরভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবেজুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ভ্যাট দিবস উদযাপন
No icon

করদাতাদের অপেক্ষায় অলস সময় পার

দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কর মেলায় রিটার্ন দাখিলে মিলছে না সাড়া। কর অঞ্চলগুলোতে অলস সময় পার করছেন কর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকায় এবার শুরুর দিকে আয়কর দাতাদের উপস্থিতি কম। আগামী সপ্তাহ নাগাদ আয়কর দাতাদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ তাদের। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-১০, কর অঞ্চল-১১ ও কর অঞ্চল-৭ ঘুরে হাতে গোনা কয়েকজন করদাতার উপস্থিতি দেখা গেছে। কর অঞ্চল-৬ ও কর অঞ্চল-৭ এ রিটার্ন গ্রহণের জন্য বসানো হয়েছে তথ্য কেন্দ্রসহ ৬টি করে বুথ। অন্যদিকে কর অঞ্চল-১০ এ ৯টি রিটার্ন গ্রহণ বুথ রাখা হয়েছে। করোনা বিবেচনায় কর অঞ্চলের বুথগুলোতে গ্লাস লাগানো রয়েছে। করসেবা দিতে অঞ্চলগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকলেও প্রায় প্রতিটি বুথই ছিল ফাঁকা।

অঞ্চলগুলোর তথ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে ই-টিআইএন সেবা ও আয়কর রিটার্ন ফরম দেওয়া হচ্ছে। কর অঞ্চলগুলোতে দেখা গেছে, গল্পগুজব করে অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তারা।

কর অঞ্চল-১০ এর কমিশনার মো. লুৎফুল আজীম বলেন, করদাতাদের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখনো কাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। ১৫ নভেম্বরের পরে করদাতাদের উপস্থিতি বাড়বে।

কর অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখা যায়, করদাতার উপস্থিতি না থাকায় তৈরি হয়নি কর্মচঞ্চল পরিবেশ। আয়কর জমা দিতে যারাও এসেছিলেন তারা অনেকটা নির্বিঘ্নে করসেবা নিতে পারছেন। উপচেপড়া ভিড়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

বেসরকারি ব্যাংককর্মী সিরাজুম মুনীর সকালে রিটার্ন জমা দিয়েছেন কর অঞ্চল-৭ এ। তিনি বলেন, শেষ সময়ে অনেক ভিড় হয়, হুড়োহুড়ি হয়। এজন্য আগেভাগে রিটার্ন জমা দিয়ে গেলাম। কর মেলা না হলেও মেলার পরিবেশ করা হয়েছে। এটা ভালো লাগছে।