মেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ১৫% ভ্যাটকৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীবাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআরইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকি
No icon

করের বোঝা চাপলেও নিম্ন আয়ের বরাদ্দ বাড়েনি

বর্তমান পরিস্থিতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাস্তবতায় যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার ছিল, সেখানে বেতন, পেনশন, ভাতা বাদ দিলে দেখা যায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কমেছে। এটি সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হবে। কিন্তু বাজেটে তা করা হয়নি।বরং নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনা নিয়ে যত আলোচনা হচ্ছে, তত অলোচনা হচ্ছে না পাচার রোধ করা নিয়ে।গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা।

সেলিম রায়হান বলেন, নতুন করে বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসহায়ত্বের সৃষ্টি হয়েছে, দরিদ্র হয়েছে সেটার কোনো প্রতিফলন নেই বাজেটে। আমরা যদি সঠিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করতে না পারি, তাহলে আমরা সমাধানের পথেও হাঁটতে পারব না। এ বিষয়ে বাজেটে পরিষ্কার করে বলা হয়নি। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সরকারের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করছে কি না সে দিকটাতে নজর দেওয়া জরুরি। তিনি অরো বলেন, এখনকার বাস্তবতায় প্রয়োজন ছিল মাথাপিছু সামাজিক ভাতার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে আমরা চেয়েছিলাম, ওপেন মার্কেট সেল বা ওএমএসে বরাদ্দ বাড়ানো হোক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এবার উল্টো ওএমএসে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা হলে সেখানে সরকারের খুব বেশি ক্ষতি হতো না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বছরের বাজেট-পরবর্তী সময়ে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে যত আলোচনা হচ্ছে, বাজেটের মূল কাঠামো নিয়ে ঠিক ততটা হচ্ছে না। এটা সব দিক থেকেই অনৈতিক। সানেম এই নীতি সমর্থন করে না। তিনি বলেন, টাকা পাচার হলো কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। তিনি মনে করেন, এই বাজেট বৃহৎ ব্যবসাবান্ধব। করপোরেট ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।এর আগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় সায়মা হক বিদিশা বলেন, ২০১৬ সালের পর সরকারি পরিসংখ্যান নেই। এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সানেমের রিসার্চ টিমের সদস্য হিসেবে ফারহিন ইসলাম।