প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা না বাড়িয়ে আগের মতোই তিন লাখ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি (বিসিআই)। গত শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে বিসিআই কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এমসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামসহ বিসিআইয়ের পরিচালক ও সদস্যরা।বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে সব ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। এর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এর পাশাপাশি ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করে বিসিআই। আমরা আগামী কর বছরে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয় সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এরপর ক্রমান্বয়ে তা আরও বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। পরবর্তী দুই অর্থবছরেও এই সীমা বহাল রাখা হয়েছে।মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ দাবি করে আনোয়ার উল আলম বলেন, বাজেট প্রস্তাবে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেখা যাচ্ছে না।প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানি ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিসিআই সভাপতি।এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতের জন্য করপোরেট কর ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ ও ন্যূনতম ৫ বছর কর অবকাশ, শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ উৎস কর নির্ধারণ, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনে নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করে বিসিআই।