কসমেটিকস বা প্রসাধন পণ্য অনেক ক্ষেত্রে কর ফাঁকি দিয়েই দেশে আমদানি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। একই সঙ্গে এ ধরনের নকলও হচ্ছে বলে জানান তিনি। বুধবার কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মত দেন।গত কয়েক দিন প্রসাধনীর বাজার তদারকি করে রাজধানীর বনানী, গুলশান, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজারসহ পুরান ঢাকার চকবাজার ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে ১০টি দোকান থেকে মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পণ্য কবে, কোথা থেকে আমদানি হয়েছে, পণ্যের মান নির্ধারণকারী সংস্থার অনুমোদন, মেয়াদোর্ত্তীর্ণের তারিখ এবং পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো পণ্যের মোড়কে দাম লেখা নেই। খুচরা বিক্রেতারা নিজেরাই মূল্য লিখে রেখেছেন। এতে বোঝা যায় এসব পণ্য অবৈধভাবে দেশে আসছে। অর্থাৎ কর বা মূসক ফাঁকি দিয়েই আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যই নকল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সফিকুজ্জামান বলেন, ভেজাল পণ্যের কারণে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। নকল প্রসাধনী ব্যবহারে ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
সভায় কয়েকজন আমদানিকারক জানান, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ফ্রেইট এজেন্সিগুলো অবৈধভাবে অনেক পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সেগুলো বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। আবার কেউ কেউ যে পরিমাণ পণ্য আনার ঘোষণা দেন, তার চেয়েও বেশি আনেন। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জরিমানা ছাড়াই পণ্য বন্দর থেকে বের করে নেন।বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসাইন বাবলু বলেন, আমদানিকারকদের হয়ে ফ্রেইট এজেন্সিগুলো ম্যানেজ কারবার করে থাকে। হয়তো এক হাজার কেজি পণ্যে ১০ লাখ টাকা কর হলে ৫০০ কেজির কর পরিশোধ করে।