দুর্র্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা-১০ আসন ছেড়ে এ দায়িত্ব নিয়েছেন ২ বছর ৮ মাস। প্রথম দিন থেকেই ছিলেন কঠোর অবস্থানে। মেয়াদের বাকি সময়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সময়ের কাছে খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।ডিএসসিসির কিছু বদনাম ছিল। সেই গ্লানি ঘুচিয়ে ঢাকাবাসীকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রতি নজর দিয়েছি। প্রথম দিন থেকেই কঠোর হাতে দুর্নীতি দমন করেছি। যার ফল ঢাকাবাসী পাওয়া শুরু করেছে।অর্র্থবছরে রাজস্ব আহরণ করেছি ৮৭৯ কোটি টাকা। এতেই বোঝা যায় ঢাকাবাসীর আস্থা বেড়েছে। যার কারণে এ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছি।এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রায় প্রত্যেক দিন বা প্রতিনিয়তই এটাকে অতিক্রম করতে হয়।
এ ব্যাপারে আমরা খুবই কঠোর। যখনই যেটা নজরে আসছে, ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। দুর্নীতির কারণে আগে মানুষ নগরভবনে আসতে ভয় পেত। এখন সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যায়। ফলে ঢাকাবাসীর আস্থার জায়গা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত হওয়ার প্রতিফলন রাজস্ব বৃৃদ্ধি।কর বাড়াননি সেটা যেমন সত্য, আবার অনেক নতুন খাত সৃৃষ্টি করেছেন। এমনকি কুকুর লালন পালনে কর, দাফনে বাড়তি টাকার বোঝা বিষয়গুলো কীভাবে দেখছেন? আগেও এ খাতে কর ছিল। কিন্তু সেটা আদায় করা হয়নি। শুধু ঢাকা শহর নয়। বহির্বিশ্বের সব সিটি করপোরেশনে এ খাতগুলো থাকে। কুকুর পালতে গেলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়, কর দিতে হয়। এটা মৌলিক কর। ব্রিটিশ আমলের আইনেই এটা ছিল। আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যেই এ খাত থেকে কর আদায় করছি। আর কবরস্থানে ন্যূনতম মূল্য দিতে হয়। এখানে কোনো রকম সেবামূল্য বৃৃদ্ধি করা হয়নি। তা ছাড়া সিটি করপোরেশন নিজেরা কর বৃৃদ্ধি করতে পারে না। কর তফসিল করে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী আমরা রাজস্ব আদায় করে থাকি।