অনলাইনে ৯৬ ঘণ্টা ভ্যাট কার্যক্রম বন্ধ থাকবেরমজানে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে কর অব্যাহতিখোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বাকি ১৮ হাজার কোটি টাকা, ৩৭ চিঠি দিয়েও ব্যর্থ এনবিআরভ্যাটের একক রেট করতে পারলে ফাঁকি কমে যাবেজুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জাতীয় ভ্যাট দিবস উদযাপন
No icon

নিত্যপণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় আইসিএমএবি

সব ধরনের কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে উৎসে করের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুর রহমান খান এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। একই দিন আলোচনায় আরও অংশ নেয় ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএবি), ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি), ভ্যাট প্রফেশনালস ফোরাম, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ), বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অটো ব্রিক ম্যানুফাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, চাল-ডাল, আটা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার বিধান রয়েছে। এসব পণ্যের ওপর করের বোঝা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই এসব পণ্যকে করের আওতামুক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

আইসিএসবির প্রেসিডেন্ট মো. আসাদুল্লাহ মূল্যস্ম্ফীতিসহ অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে সাত লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ চিকিৎসা ভাতা করমুক্ত প্রস্তাব করেন তিনি। বর্তমানে যা ১০ শতাংশ।এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। সবাইকে সহযোগিতা করার মানসিকতা এনবিআরের রয়েছে। আবার দেশের উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আদায়ও করতে হয়। সব কিছু মিলিয়ে যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বিসিএমএর সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, গত নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে চুনাপাথর আমদানিতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক ধার্য করা হয়েছে। এ শুল্ক্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো শহীদুল্লাহ বলেন, ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ স্টিল তৈরির কাঁচামাল আমদানি সম্ভব হচ্ছে। এতে উৎপাদন দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। স্টিলের কাঁচামাল সহজে আমদানিতে রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা চান তিনি।