বর্তমানে কার্যকর করহার অনেক বেশি। যা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য বড় বাধা। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিল রেখে কার্যকর কারহার কমানোর দাবি জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।বুধবার (১ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলেচনায় এসব দাবি তুলে ধরেন ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়।প্রাক বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতিত্ব করেন। এতে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।ফিকি সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, পাবলিকলি ট্রেডেড প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০ শতাংশ ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। তবে উৎসে কর কেটে নেওয়ার পাশাপাশি আয়কর আইনের ৩০বি ও ৮২সি (২) প্রয়োগের ফলে কার্যকর করহার অনেক বেশি হয়ে যায়। অনেক সময় এটা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশও হয়ে যায়।এ সময় তিনি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিল রেখে সমন্বয়ের জন্য এনবিআরকে প্রস্তাব দেন। এছাড়া উৎসে কর কর্তনও যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করার কথা বলেন তিনি।
ফিকি সভাপতি আরও বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠান বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হয়। এই হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন তিনি। পাশাপাশি ক্যাশলেস সমাজ গড়তে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান।এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, নতুন ভ্যাট আইনটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল অপারেশন, ডিজিটাল মানেজমেন্ট, ডিজিটাল সিস্টেম ভিত্তিক আইন। এই আইনের সঠিক ব্যবহার করতে গেলে আমাদেরকেও ডিজিটালের জায়াগায় পৌঁছাতে হবে। আমরাতো আইনটা করেছি মাত্র। এটা ধীরে ধীরে সংশোধন হবে।তিনি বলেন, ডিজিটাল ইনভয়েস হলে আর কিছু লাগে না। কিন্তু আমাদের দেশে জনগণের মধ্যে ইনভয়েসের চর্চা অনেক কম। দোকানি যদি (ইনভয়েস) দেন, ক্রেতারা তা ফেলে দেন। এছাড়া রিটার্ন জমা দেওয়া সহজ করা হচ্ছে বলেও ব্যবসায়ীদের জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।