কৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীবাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআরইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবে
No icon

ডিজিটালাইজড কর ব্যবস্থাপনা দরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করা দরকার। এর মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোর পাশাপাশি করদাতাদের সমস্যাও কমিয়ে আনা যাবে। এতে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আদায়।গত মঙ্গলবার দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর নীলক্ষেতে আইসিএমএবি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, এনবিআরের পুরো কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করে কর প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে রাজস্ব কর্মকর্তাদের কাজে দক্ষতা ও স্বচ্ছতাও অনেক বাড়বে।আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান জানান, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের জন্য সম্প্রতি ৬২টি প্রস্তাব এনবিআরে পাঠিয়েছেন তাঁরা। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই কর রাজস্ব বাড়ানো সম্পর্কিত। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং করদাতাদের হয়রানি দূর করতে ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের মাধ্যমে ট্যাক্স রিটার্নের অডিট সম্পন্ন করা দরকার বলে মত দিয়েছে আইসিএমএবি।

তিনি বলেন, বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইন ও প্রবিধানগুলো দূর করে আয়করের মৌলিক দর্শন পুনরুদ্ধার করা দরকার। এটি বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।অনুষ্ঠানে আয়কর বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের সাবেক সদস্য রঞ্জন কুমার ভৌমিক। কাস্টমস ও ভ্যাট বিষয়ে আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএমএবির সচিব মো. কাউসার আলম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ট্যাক্স কমপ্লায়েন্সের উন্নতি, করের আওতা সম্প্রসারণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আয়কর ও ভ্যাট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার পরামর্শ দেন তাঁরা।এ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ প্রমুখ।করের আওতা বাড়াতে ডিজিটালাইজেশন এবং যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা। তাঁরা আরও বলেন, কভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং মুদ্রা বিনিময় হারের সঠিক ব্যবস্থাপনার তাগিদও উঠে আসে তাঁদের বক্তব্যে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবির সাবেক প্রসিডেন্ট মোহাম্মদ সেলিম। প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রসিডেন্ট আরিফ খানের পরিচালনায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন আইসিএমএবির কোষাধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান।