কর ফাঁকিবাজদের ধরতে কর্মকর্তাদের টার্গেট দেওয়া হবেআয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের নজরদারিতে আনছে এনবিআরকরপোরেট করে শর্ত শিথিল হচ্ছে বাড়ছে করমুক্ত আয়ের সীমাব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদেরও ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছেসহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরা
No icon

রেমিট্যান্সের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি

বর্তমানে অর্জিত রেমিট্যান্সের ওপর ১৫ শতাংশ ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স (টিডিএস) কাটা হয়। এই বিধান বাতিল কিংবা ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফএ)।মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।বিএফএফএ জানিয়েছে, ফ্রেইটের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ টিডিএস কাটা হলেও শিপিং এজেন্সির ক্ষেত্রে এই হার ধাপভিত্তিতে ৪ থেকে ৬ শতাংশ, কুরিয়ার পরিষেবার ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ শতাংশ, ইন্ডেন্টিং কমিশনের ওপর ৬ থেকে ৮ শতাংশ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সি কমিশনের ওপর ১০ শতাংশ কর কাটা হয়। যা বৈষম্যমূলক এবং অযৌক্তিক বলে মনে করে এই হার পুণবিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।এছাড়া কর্পোরেট কর কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা, ফরওয়ার্ডারদের ওয়্যারহাউস স্থাপনের জন্য সমুদ্র ও বিমানবন্দরের পাশে জমি দেওয়া, ওয়্যারহাউস সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে ফরওয়ার্ডারদের রপ্তানি বন্ডেড ওয়্যারহাউস স্থাপনের অনুমতি, করযোগ্য আয়সীমা ৫ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএফএফএ।বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবে ৪০ শতাংশ অবচয় সুবিধা, পোড়া মবিল থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রস্তাবে কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। প্রস্তাবের সমর্থনের সংগঠনটি জানায়, ইনডেন্টিং রপ্তানি খাত থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে এ খাতের আয় বহু গুণ বেড়ে যাবে।

উপস্থিত সব সংগঠনের প্রস্তাব শুনে তা বিবেচনার আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় এনবিআরের বিভিন্ন পর্যায়য়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পটা একটা শ্রমঘন শিল্প। আমার সেই শ্রমিক আছে। আমার শ্রমিক অন্যদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে কাজ করছে। জাহাজ না হোক লঞ্চ কার্গো বানানোর জন্য ছোট ছোট ডক আছে। সেখানের শ্রমিকদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বড় জাহাজ নির্মাণের দিকে যেতে পারি।তিনি বলেন, বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিবহন প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের বড় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, ডকগুলো দাড়াঁতে পারছে না। তারা বসে যাচ্ছে। এটা এড্রেস করতে চাই। যদি আমার পক্ষ থেকে কোনো সুযোগ থাকে। এনবিআর সবকিছু মওকুফ করে দেবে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপ করবে না, সেটা হবে না।