জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকাউদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বেড়েছে বরাদ্দকালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহতনতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম কর ১ হাজার টাকাআজ জাতীয় বাজেট পেশ
No icon

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হচ্ছে

আগামী বছর স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে সরকার। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী, সমতাভিত্তিক, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত দেশ গঠনে প্রত্যক্ষ কর তথা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সক্ষম ও গতিশীল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই ঘোষণা দিতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এবং জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় এবার সংসদে বাজেট উপস্থান করা হবে না। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে।, চলতি বছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা, দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।সরকার মনে করছে, চলতি অর্থবছরে অনলাইন রিটার্ন করদাতাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই আগামী বছর স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামীতে যেন কোম্পানি করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে। এই উত্তরণ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বহিঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তি এবং বৈদেশিক সাহায্য ও সহজ ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত করবে। এই প্রেক্ষাপটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দর্শনের আলোকে একটি বৈষম্যবিরোধী, সমতাভিত্তিক, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত দেশ গঠনে প্রত্যক্ষ কর তথা আয়কর ব্যবস্থাকে আরও সক্ষম ও গতিশীল করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।রাজস্ব ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্দেশে এরই মধ্যে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি রাজস্ব কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে এবং কর সেবা পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান কর ব্যয় কাঠামোকে যৌক্তিক করার লক্ষ্যে এবং কর অব্যাহতি সংস্কৃতির রাশ টানার লক্ষ্যে সম্প্রতি কর ব্যয় নীতিমালা ও এর ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে এবং যৌক্তিকভাবে ও পর্যায়ক্রমে কর ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে অবারিত সময়ের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান নিরুৎসাহিত করা হবে এবং প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিয়ে কর অব্যাহতি দেওয়া হবে।