মূল্যস্ফীতিতে জেরবার হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সেই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে রেকর্ড হারে নীতি সুদ বৃদ্ধি করেছে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি), যদিও এবারের মূল্যস্ফীতি ঠিক চাহিদাজনিত নয়। তবে শুধু ইসিবি নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে।
ইউরো চালু হয়েছে ১৯৯৯ সালে, কিন্তু যে ১৯টি দেশ ইউরো ব্যবহার করে, তাদের ক্ষেত্রে আর কখনো এবারের মতো ৭৫ বেসিস পয়েন্ট হারে নীতি সুদহার বাড়েনি। সেই সঙ্গে ইসিবির প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের হুঁশিয়ারি, আগামী দিনেও সুদ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে।
এমনিতেই ইউরোপের বড় দেশগুলোতে মন্দাভাব বিরাজ করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় রাশিয়ার ওপর তারা নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর জবাবে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করেছে। আপাতত যা পুরোপুরি বন্ধ আছে। ফলে ইউরোপে গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কিছুর জেরে ইউরোপে মন্দার আশঙ্কাও থাকছে।
আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভও একই পথে হাঁটছে। প্রতি প্রান্তিকেই তারা নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আগস্টে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ঘর গরম রাখার জন্য জরুরি প্রাকৃতিক গ্যাসের খরচ বেড়েছে ১০ গুণের বেশি। এ অবস্থায় ১১ বছর পর গত জুলাই মাসে প্রথম নীতি সুদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় ইসিবি। এরপর এত বেশি হারে সুদ বাড়াল তারা।
ল্যাগার্দে জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি, অর্থাৎ বিদ্যুতের খরচ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে চাহিদা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার ওপর সুদ বাড়লে মানুষ আরও বেশি করে হাত গুটিয়ে নেবেন। এর জেরে বছরের বাকি মাসগুলোতে অর্থনীতির গতি শ্লথ হতে পারে। খবর বিবিসির।