ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জানুয়ারি) এনবিআরের রাজস্ব আদায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এনবিআরের রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়-সংক্রান্ত এনবিআরের সাময়িক প্রতিবেদনে এ তথ্য রয়েছে।

এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের সাত মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সংস্থাটির।

সাত মাসে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব এসেছে ৫২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে এ খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাত থেকে সাত মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় যা ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি । তবে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা কম আয় হয়েছে। এ ছাড়া আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত থেকে সাত মাসে রাজস্ব এসেছে ৫৩ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতি কিছুটা শ্লথগতিতে আছে। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আয় হচ্ছে না। তবে এনবিআর কর্মকর্তারা আশা করছেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও গতি পাবে। তখন রাজস্ব আয়ও বাড়বে।