শতভাগ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের মতো অন্য রপ্তানিকারকদের একই রকম কর সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংস্থা দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)।
বর্তমানে শতভাগ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারককে ১২ শতাংশ এবং সবুজ কারখানা হলে ১০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়। অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের রপ্তানি আয়ের ওপর ৫০ শতাংশ রেয়াত পায়। আইসিএবির সুপারিশ হলো, অন্য খাতের শতভাগ রপ্তানিকারকেরাও যেন পোশাক খাতের একই হারের কর সুবিধা পায়।
আজ বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) দেওয়া বাজেট প্রস্তাবনায় এই সুপারিশ করেছে আইসিএবি। আইসিএবির সভাপতি শাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাজেট আলোচনায় অংশ নেয়।
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পরামর্শক সেবা, প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সেবা ও টেকনিক্যাল সেবার ওপর ২০ শতাংশ হারে কর বসে। এটি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পারকুইজিটের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ব্যয় সীমা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এটি ১১ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে আইসিএবি।
বর্তমানে পণ্য আমদানির সময় আমদানি করা পণ্য মূল্যের ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর কাটা হয়। এটি ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সাল পর্যন্ত আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর ৩ শতাংশ ছিল।
আইসিএবি সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত বাড়ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনেরে মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিশ্ব পণ্যবাজার ও রাজনৈতিক ঘটনাবলির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর নানা চ্যালেঞ্জ আসবে। এখন মোট রাজস্বের ২৯ শতাংশের মতো আসে শুল্ক খাত থেকে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সেবা সহজ করতে হবে। এ ছাড়া ব্যবসার খরচ কমাতে হবে।