করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো উচিত ছিলকর-ভ্যাটের চাপ আরও বাড়বেবাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ পণ্যে কমছে করভোগ্য পণ্যে শুল্ক কমানোর পরামর্শনতুন করের বোঝা না চাপানোর অনুরোধ ডিএসই’র
No icon

বাড়বে ভ্যাট, বাড়তি দামের চাপে ভুগতে হবে ভোক্তাদের।

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের পরিধি ব্যাপক হারে বিস্তৃত করার পাশাপাশি নিত্যব্যবহার্য কিছু পণ্যের ভ্যাটহারও বাড়ানো হচ্ছে। ভ্যাটবৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামের চাপে ভুগতে হবে ভোক্তাদের।আগামী অর্থবছরে অনেক পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হচ্ছে। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তাপর্যায়ে বিক্রি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ভ্যাটের হার হবে ১৫ শতাংশ। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য ও সেবাভেদে ৩, ৫, ৭.৫, ১০ ও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  বর্তমানে কর অব্যাহতি অথবা হ্রাসকৃত হারে কর প্রদানের সুবিধা পাচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কিছু ইলেকট্রনিকস পণ্য। আগামী বাজেটে এগুলোর ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর। এর মধ্যে রেফ্রিজারেটর, এসি, মোবাইল ফোন ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের মতো পণ্য থাকতে পারে। এ ছাড়া চিনিযুক্ত কিছু জুসের ওপর ভ্যাটের হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। জুস প্রস্তুতকারকদের বার্ষিক বিক্রি বা টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম করের হারও বাড়তে পারে। এ ছাড়া ভ্যাটের চাপ আসছে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপরও। নিম্ন থেকে উচ্চমানের প্রতিটি সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হচ্ছে। এ কারণে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে।

বর্তমানে রেফ্রিজারেটর উৎপাদক পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ, মূল্য সংযোজনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে তা ২ থেকে ৭.৫ শতাংশ, এবং বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ। রেফ্রিজারেটর ও মোবাইল হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ২ শতাংশের বেশি ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে। এলপিজি সিলিন্ডারেও ভ্যাট সামান্য বাড়ানো হতে পারে।অন্যদিকে তামাকজাত পণ্যে মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়ানো হতে পারে। দামের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বাজারের সিগারেটগুলোকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো : নিম্ন, মাঝারি, উচ্চ ও প্রিমিয়াম। স্তর অনুযায়ী ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৪৫, ৬৭, ১১৩ ও ১৫০ টাকা পর্যন্ত। চারটি স্তরে সম্পূরক শুল্কের হার ৫৮ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত। জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে প্রতিটি স্তরের খুচরা মূল্য ৫ টাকা করে বাড়ানো হতে পারে। এ ছাড়া কিছু পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।অন্যদিকে মোবাইলে কথা বলতে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে গ্রাহকের। বর্তমানে একজন গ্রাহক মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৮৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসাবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তারা ১০০ টাকার বিনিসময়ে ৭৮ টাকার কথা বলতে পারবেন।