জুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধস
No icon

করহার হ্রাস ও করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি মুজিববর্ষের উপহার

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি করহার হ্রাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার (১৭ আগস্ট) চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রাজস্ব আদায়ের কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে সভায় (ভার্চুয়াল) তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর অনুবিভাগের ২০২০-২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর খাত হতে রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও যুগোপযোগী একটি কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বিজনেস প্রসেস অটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে সামগ্রিক অটোমেশনের আওতায় আনয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে করের আওতা সম্প্রসারণ (জরিপ, থার্ড পার্টির ডাটাবেইজ ব্যবহার করা), করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রিটার্ন ফরম সহজ করে এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে। একবারের বেশি কোনো ব্যক্তিকে টিন নম্বর দেয়া হবে না। এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি করহার হ্রাস করা হয়েছে।

রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে সকল কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এর মধ্যে এআইটি বৃদ্ধি করা হয়েছে, ভুয়া টিআইএন ও কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএ-কে ই-টিআইএন যাচাইয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আয়কর বিভাগের ৬৫ শতাংশ রাজস্বই আদায় হয় উৎস কর হতে। উৎস কর আদায়ে যথাযথ মনিটরিং ও উৎস কর্তনে কর ফাঁকি রোধকল্পে টাস্কফোর্স গঠন, ই-টিডিএস সিস্টেম তৈরির উদ্যোগসহ ইনোভেটিভ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিদেশি নাগিরকদের কর ফাঁকি রোধে ডাটাবেইজ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত গাড়ির বিশেষ ধরনের নম্বর প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ ৭ জন মেম্বার, ৩১ জন কমিশনার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।