জুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধস
No icon

রিটার্ন তৈরির সময় যেসব পরিবর্তন মনে রাখবেন

চলছে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার মৌসুম। এ জন্য অনেক করদাতা তাড়াহুড়া করছেন। এই অফিস, ওই অফিস দৌড়াদৌড়ি করে কাগজপত্র সংগ্রহ করছেন তাঁরা। আগের বছরের জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত আয়ের হিসাব করে বার্ষিক রিটার্ন দিতে হয়। তবে রিটার্ন দেওয়ার আগেই জেনে নিন, এবারের বাজেটে কী ধরনের পরিবর্তন হলো। সেই পরিবর্তন মাথায় রেখেই আপনাকে রিটার্ন তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে প্রায় ৬৭ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। শুধু জমি বেচাকেনা কিংবা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য যাঁরা টিআইএন নিয়েছেন, তাঁরা ছাড়া অন্য সবার রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে।

প্রায় প্রতিবছরের বাজেটেই আয়কর বিষয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। সেই পরিবর্তন দেখে আপনাকে রিটার্ন তৈরি করতে হবে। এবার দেখা যাক কোথায় পরিবর্তন আনা হলো, কোথায় আনা হয়নি। এবারও করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। অন্যবারের মতো করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

নারী, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী করদাতাদের সাড়ে চার লাখ টাকা, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের বার্ষিক আয়ে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কর নেই। প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতা মাতা বা আইনগত অভিভাবকেরা তাঁদের আয়ে করমুক্তসীমায় আরও ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন। তবে এবারের বাজেটে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের আয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাঁদের করমুক্ত আয়সীমা করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। বিনিয়োগ করে করছাড় পাওয়া যায়। তবে কোথায় বিনিয়োগ করবেন, তা জেনে নিন। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত মিলবে। একজন করদাতা এত দিন আয়ের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কিংবা দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারতেন। এবার থেকে এই সীমা কমিয়ে ১ কোটি টাকা করা হয়েছে। রিটার্ন তৈরির সময় তা অবশ্যই মনে রাখবেন। তা না হলে কর বেশি হিসাব করে ফেলতে পারেন। ধনীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সারচার্জের বিধানটি বাতিল করা হয়েছে। ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ থাকলে আয়ের ৩৫ শতাংশ সারচার্জ হিসেবে দিতে হবে।

টিআইএন ছাড়া দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। তাই দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনবেন যাঁরা, তাঁদের রিটার্ন দিতে হবে। বাড়ির নকশা অনুমোদন করতেও টিআইএন লাগবে। তাই যাঁরা বাড়ি করবেন, তাঁদের রিটার্ন দিতে হবে। মনে রাখবেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে যাঁরা সঞ্চয়পত্র কিনবেন বা বাড়ির নকশা করবেন, তাঁরা আগামী বছর রিটার্ন দেবেন।